ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থেকে রিমা বেগমসহ ৩ প্রতারক ও সদর উপজেলা বাগান বাড়ি এলাকা থেকে আরেক প্রতারক সহ ৪ জন কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিজয়নগর থানার এস আই ইউনুস তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে পাঁচটি নকল স্বর্ণের বারসহ তৈরির যন্ত্রপাতি ও উদ্ধার করে ।
আটকৃতরা হলেন রীমা বেগম তার ভাই সাদ্দাম এবং স্বামী শরিফ সহ তার আরেক নিকট আত্বীয়।
এ ঘটনায় (১ জুলাই) সোমবার থানায় একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।পুলিশ জানায়, গত ২৯/৬/২০২৪ তারিখ সময় সকাল সাঁড়ে দশটার দিকে উপজেলার চান্দুরা বাসস্ট্যান্ডে একদল সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র সিএনজি নিয়ে যাত্রী বেশে অবস্থান করছিলেন।এসময় চর-ইসলামপুরের নাজিরাবাড়ি সুরাইয়া বেগম চান্দুরা হতে চম্পকনগর বাজারে যাওয়ার জন্য সিএনজি স্টেশনে আসিলে পূর্ব হতে অবস্থান করা প্রতারক চক্রের ড্রাইভার ধৃত আসামী-সাদ্দাম হোসেনের আহবানে যাত্রী বেশে সিএনজিতে উঠে। এসময় গ্রেফতার নারী প্রতারকসহ অন্যান্য আসামীরা যাওয়ার পথিমধ্যে অভিনব কৌশলে রাস্তায় ফালাইয়া নিজেদের পরিকল্পনা মতে একটি মানিব্যাগ পাইছি বলিয়া গাড়ি থামায়। গাড়ি থামাইয়া মানিব্যাগটি হাতে নিয়া মানিব্যাগের ভিতর থাকা কাগজের পোস্টার দ্বারা মোড়ানো একটি ২২ ক্যারেট এর স্বর্ণের বার, তিন ভরি একটি চিরকুটে লেখা। ছলনাময়ী কথা বলিয়া ভুক্তভোগী- সুরাইয়া বেগম এর নিকট অরজিনাল স্বর্ণ বলিয়া বিশ্বাস জন্মায় এবং আশ্বস্ত করে। তখন প্রতারক চক্রের কথামতো ভুক্তভোগী-সুরাইয়া বেগম স্বর্ণ কিনতে রাজি হইয়া তার সঙ্গে থাকা ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা প্রদান করে। পরবর্তীতে সিএনজি থেকে নেমে সুরাইয়া প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন মর্মে বুঝতে পারেন। কিছুক্ষণ পর অন্য একটি সিএনজি এই সড়কে যাওয়ার সময় প্রতারক চক্রের এক সদস্য কে চিনতে পেরে স্হানীয়দের সহযোগিতায় অন্য প্রতারকদের আটক করে পুলিশকে খবর দেয়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আসাদুল ইসলাম বলেন, এরা একটি সিন্ডিকেট চক্র,এরা ভুয়া স্বর্নের ভার তৈরি করে মানুষ কে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে এই কাজ গুলো করে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।