ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার একমাত্র কোরবানির পশুর হাট হচ্ছে জেলা শহরের ভাদুঘর বাস টার্মিনাল।
কিন্তু সেই পশুর হাটের দরপত্র ডেকে কাঙ্ক্ষিত ইজারামূল্য পাওয়া যায়নি।এর ফলে পৌরসভা নিজেই পরিচালনা করবে জেলা শহরের ভাদুঘর বাস টার্মিনালের
পশুর হাটটি । আগামীকাল ১৩ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত বসবে এই পশুর হাট।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার অধীনস্থ একমাত্র কোরবানির পশুর হাটটি বসে ভাদুঘর বাস টার্মিনালে । প্রতিবছর কোরবানী ঈদের চারদিন আগ থেকে ভাদুঘর বাস টার্মিনালে পশুর হাট বসে। গত বছর উক্ত হাটটি ঈদের আগে চারদিনের জন্য ৭০ লাখ টাকা দরে ইজারা প্রদান করে পৌরসভা। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা ইজারা প্রদান করতে গত ২৮ মে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দরপত্র আহ্বান করে। এতে ৪ দিনে সম্ভাব্য ইজারামূল্য ধরা হয় এক কোটি টাকা।
দরপত্র জমার শেষ সময় ছিল সোমবার ১০ জুন দুপুর ১২টা। খোলার সময় রাখা হয় একইদিন দুপুর একটায়। এই সময়ের মধ্যে দরপত্রের সিডিউল বিক্রি হয় মাত্র দুটি এবং জমাও পড়ে এই দুটি সিডিউলই। সোমবার দরপত্র বাক্স খোলার পর দেখা যায় ওই দুটি দরপত্রে ইজারামূল্য উল্লেখ করা হয় একটিতে ৫০ লাখ এবং অপরটিতে ৬৫ লাখ টাকার বেশি। যা ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সম্ভাব্য ইজারামূল্যের ৩৫ লাখ টাকা কম। চাহিদা অনুযায়ী ইজারামূল্য না পাওয়ায় একইদিন সভা করে পৌরসভা সিদ্ধান্ত নেয় নিজেরাই এই পশুহাট পরিচালনা করবে।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, চেষ্টা করেছি সম্ভাব্য মূল্য অনুযায়ী ইজারাদার পেতে, কিন্তু তা পাওয়া যায়নি। সরকারি মূল্যের কমেতো বাজার ইজারা দেওয়া যাবে না। এখন আমাদের হাতে সময় নেই। নতুন করে দরপত্র ডাক দিতে ন্যূনতম ১৫ দিন সময় রেখে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হয়, কিন্তু এই সময় এখন নেই। তাই আর দরপত্র ডাক দেওয়া হয়নি। এখন আইন অনুযায়ী নিজেদেরই বাজার পরিচালনা করতে হবে। তবে বাজার পরিচালনা করাটা আমাদের জন্য অনেক কষ্টকর হবে। তবুও সরকারী নিযম অনুযায়ী তা চালিয়ে যেতে হবে। এ বিষয়ে আমাদের কোন কিছু করার নেই।