পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে ভারতগামী যাত্রীদের ঢল নেমেছে।শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৭ শতাধিক যাত্রী ভারত গমন করেন এই চেকপোস্ট সীমান্তপথে।
শনিবার ও ছিল ভারতগামী যাতারীদের প্রচন্ড ভীড়। গতকালের চেয়ে যাত্রী সংখ্যা বেশী বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।
শুক্রবার ও শনিবার ইমিগ্রেশন ভবন ও ভবনের বাইরে সড়ক পর্যন্ত অপেক্ষমাণ রয়েছেন আরও কয়েকশ ভারতগামী পাসপোর্টধারী যাত্রী।
ইমিগ্রেশন সুত্রে জানা যায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় এই চেকপোস্ট ব্যবহার করছেন যাত্রীরা। তবে এখানে এসেও দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। ভিড়ের কারণে অনেক যাত্রী তাদের নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছে বিমান ধরতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন।
ইতিমধ্যে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা পাঁচ দিনের ছুটি ঘোষনা করা হয়েছে সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে। এর মধ্যে ২ দিন সাপ্তাহিক ছুটি আর ৩ দিন ঈদের ছুটি রয়েছে।
টানা ৫ দিনের ছুটি শুরু হওয়ায় বিভিন্ন অফিস, আদালত কল কারখানা বন্ধ থাকবে বিধায় ঈদের ছুটি কাটাতে ভারত ভ্রমনকারী যাত্রীদের চাপ বেড়ে গেছে আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন দিয়ে।ঈদের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব
দের নিয়ে ভ্রমণ ভিসায় সময় কাটাতে বেশির ভাগ যাত্রী ভারত যাচ্ছেন।
যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের ছুটিতে ভারতের দর্শনীয় স্থান ঘুরতে যাচ্ছেন তারা। আবার অনেকে লম্বা ছুটির সুযোগকে কাজে লাগাতে চিকিৎসা করাতে যাচ্ছেন ভারতে। এছাড়া ভারতীয় যেসব নাগরিক বাংলাদেশের বিভিন্ন দফতরে চাকরি করছেন এবং ভারতীয় শিক্ষার্থীরা ঈদের ছুটিতে দেশে ফিরছেন।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে আরো জানা যায়,প্রতিদিন সকাল থেকেই ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস ভবনের সামনে পাসপোর্ট ধারী যাত্রীদের বিশাল বড় বড় লম্বা লাইন লেগে থাকে। এসব ভ্রমনকারী যাত্রীদের লাইনে বয়স্ক নারী পুরুষ সহ শিশু যাত্রীদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় ধীরগতিতে সম্পূর্ণ হচ্ছে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের সকল ধরনের কার্যক্রম।
চট্টগ্রাম থেকে আসা সমির ঘোষ নামে এক যাত্রী বলেন, ঈদের ছুটি পাওয়ায় কয়েকদিনের জন্য ভারতে ঘুরতে যাচ্ছি। ইমিগ্রেশন সম্পন্নের জন্য সকালে এসে
লাইনে দাঁড়ালেও এখন পর্যন্ত ইমিগ্রেশন কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নী।
কারন লাইন বেশী ও যাত্রী প্রচুর হওয়ার কারণে প্রচন্ড ভীর জমে আছে। এ কারনে এখনো ইমিগ্রেশন কাজ শেষ করতে পারি নাই।
আরেক যাত্রী সোমা দাস বলেন, জামাই ও ছেলের সাথে ভারতে ঘুরতে যাচ্ছি। ঈদের ছুটির সময়টিকে আনন্দময় করার লক্ষ্যেই ভারত ভ্রমণে যাচ্ছি।
এদিকে যাত্রীর অতিরিক্ত চাপ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে। আখাউড়া ইমিগ্রেশন ভবনটি ছোট এবং জরাজীর্ণ হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। মাত্র তিনটি ডেস্কে আগত যাত্রীদের ভিসা কার্যক্রম শেষ করতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠছেন ডেস্কে কর্তব্যরত কর্মকর্তারা।
কর্মকর্তারা বলছেন, ডেস্কের সংখ্যা বাড়ানো গেলে যাত্রীদের দুর্ভোগ কম হতো। যাত্রীদের ভোগান্তি নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন ইনচার্জ খাইরুল আলম বলেন, ঈদ উপলক্ষে স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ যাত্রী পারাপার বেড়েছে। তবে আমাদের সাধ্যমতো যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।