ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য্যরে মধ্যদিয়ে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করা হয়েছে।সোমবার (১৭ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহার দিন সকাল ৮টায় শহরের কাজীপাড়ার জেলা ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত ঈদুল আজহার প্রধান জামাতে ইমামতি করেন জেলা জামে মসজিদের খতিব হযরত মাওলানা সিবগাহতুল্লাহ নূর। নামাজে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৩ আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমানসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা নানা শ্রেণি পেশার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন।
পরে খুতবা পাঠশেষে দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও জেলা শহরের ট্যাংকের পাড় জামে মসজিদ, সদর হাসপাতাল জামে মসজিদ, শেরপুর জামে মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ ও ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে মহান সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি কামনায় পশু কোরবানি করা হয়।
অপরদিকে আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা ইউনিয়নে পৃথক স্থানে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। চরচারতলা মধ্য পাড়া ঈদগাহ মাঠ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত ঈদের জামাতে ঈমামতি করেন মাওলানা কাজী মহিউদ্দিন মোল্লা। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় উপস্থিত মুসল্লীদের মাঝে নামাজের খুৎবা পাঠ করেন মাওলানা কাজী মহিউদ্দিন মোল্লার সুযোগ্য পুত্র হাফেজ মোহাম্মদ তামীম।
অপরদিকে চরচারতলা সাইলো সংলগ্ন দ্বিতীয় ঈদগাহ নামাজের ঈমামতি করেন হাফেজ আতাউর রহমান।
দুটি জামাতেই এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং প্রচুর ধর্মপ্রাণ মুসল্লীগন অংশগ্রহণ করে। জামাত শেষে প্রত্যেকে তাদের পশু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোরবানী করেন।
উল্লেখ্য যে, যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যে সারাদেশে পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উদযাপিত হচ্ছে
সোমবার ১৭ জুন মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল-আজহা পালিত হয়েছে । যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে মুসলিম সম্প্রদায় ঈদ-উল-আজহা উদযাপন করছে।ত্যাগ ও আনুগত্যের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সারাদেশের মুসলিম সম্প্রদায় দিনের শুরুতেই ঈদুল আজহার দু’রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করেন।মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় ঈদের জামাত শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ অনুযায়ী পশু কোরবানি করছেন।ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি গণমাধ্যমসমূহ বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করেছে।
এদিন ঈদের নামাজ শেষে মুসল্লিদের অনেকেই কবরস্থানে ছুটে যান। স্বজনদের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে অশ্রুসজল চোখে এই আনন্দের দিনে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে আল্লাহর দরবারে আকুতি জানান।