ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কোরবানির পশুর হাড় ও মাংস কাটতে গিয়ে ছুড়ি এবং চাপাতির আঘাতে শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। সোমবার (১৭ জুন) সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আহত ৮০ জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে গুরুতর আহতাবস্থায় পাঁচ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহতদের বেশিরভাগেরই হাত-পায়ের আঙ্গুলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে গিয়ে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ঈদুল আজহার দিন জেলা শহরের পাড়া মহল্লাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিপুল সংখ্যক কোরবানির পশু জবাই করা হয়েছে। এসব পশু জবাই করাতে গিয়ে মৌসুমী কিছু কসাই এবং কোরবানি দাতাদের পরিবারের সদস্যদের অভিজ্ঞতা না থাকার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে পশুর হাড়-মাংসের বিভিন্ন অংশ কাটতে গিয়ে তাদের কারও হাতের অংশের আঙ্গুল আবার কারও পায়ে অসাবধানতাবশত ধারালো ছুরির আঘাত লেগে তারা আহত হয়।
আহতদের মধ্যে শহরের কাজীপাড়া মহল্লার মো. ইউনুস মিয়া জানান, মাংস কাটার সময় পায়ের নিচে রেখে কাটতে গিয়ে ধারালো ছুড়ির আঘাত লাগে। পরে রক্তক্ষরণ হলে পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তার পায়ে তিনটি সেলাই দেয়া হয়েছে।
একইভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল গ্রামের আহত মেহেদী জানান, সকালে কোরবানী দেয়ার পর মাংস কাটার সময় অসাবধানতাবসত আমার হাতে ছুরি লেগে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। পরে সদর হাসপাতালে আনা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. অর্নিবান মোদক জানান, সকাল থেকে প্রায় একশত রোগী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা সবাই কোরবানির মাংস হাড় থেকে আলাদা করতে গিয়ে আহত হয়েছেন। যাদের আঘাত গুরুতর তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অনভিজ্ঞতার কারণে হাত-পায়ের বিভিন্ন অংশ কেটে গেছে অনেক মানুষের,এ জন্যে তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে।