“
চিকিৎসক-হতে-চায়-চা-শ্রমিকের-জিপিএ-ফাইভ-পাওয়া-দুই-সন্তানএসএসসিতে ভালো ফলের খবর পেয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়নাল আবেদীন লেখাপড়ায় সহযোগিতার জন্য ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু টাকা দেন স্বর্ণালী তেলী ও অরুপ সিংহকে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘অদম্য মনোবল আর ইচ্ছাশক্তির কারণে অরুপ সিংহ ও স্বর্ণালী তেলী সাফল্য পেয়েছে। তাদের প্রশাসন থেকে সহযোগিতা করা হবে।’
পারিবারিক অভাব-অনটনের মধ্যেও নিয়মিত পড়ালেখা চালিয়ে গেছে অরূপ সিংহ ও স্বর্ণালী তেলী। এর ফলও পেয়েছে দুজন। এসএসসির চলতি বছরের পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ পেয়েছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের দুই চা শ্রমিকের এ দুই সন্তান।
বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এ প্লাস পাওয়া এ দুই শিক্ষার্থীর মা-বাবার পাশাপাশি উচ্ছ্বাস দেখা গেছে দুই স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে। এখন তাদের লক্ষ্য চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করা।
কমলগঞ্জের শমশেরনগর এএটিএম বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় থেকে এ বছর সর্বোচ্চ গ্রেড পেয়ে পাস করে কানিহাটি চা বাগানের শ্রমিক বীরেন্দ্র সিংহের ছেলে অরূপ সিংহ। অন্যদিকে ক্যামেলীয়া ডানকান ব্রাদার্স ফাউন্ডেশন স্কুল থেকে জিপিএ ফাইভ পেয়ে উত্তীর্ণ হয় চা শ্রমিক সুদর্শন তেলীর মেয়ে স্বর্ণালী তেলী।
এসএসসিতে ভালো ফলের খবর পেয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়নাল আবেদীন লেখাপড়ায় সহযোগিতার জন্য ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু টাকা দেন দুই শিক্ষার্থীকে। তাদের প্রশাসন থেকেও সহযোগিতার আশ্বাস দেন এ কর্মকর্তা।
অরুপ সিংহ ও স্বর্ণালী তেলীর ভাষ্য, উচ্চশিক্ষা অর্জন করে দেশের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করবে তারা।
চিকিৎসক হয়ে দেশের মানুষকে বিনা মূল্যে চিকিৎসা দেয়ার ইচ্ছাও পোষণ করেছে তারা।
অরূপ সিংহের বাবা বীরেন্দ্র সিংহ বলেন, ‘কষ্ট করে এত দূর এসেছে তারা। আমাদের যত কষ্ট হোক, সন্তানদের পড়াশোনা করাব। মানুষের মতো মানুষ করে তুলব। পাশাপাশি সকলের সহযাগিতা কামনা করছি।’
একই ধরনের বক্তব্য দেন স্বর্ণালী তেলীর বাবা সুদর্শন তেলী।
শমশেরনগর এএটিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিহির ধর চৌধুরী বলেন, ‘দরিদ্র পরিবারের সন্তান হলেও অরূপ সিংহের মনোবল ছিল দৃঢ়। তার সাফল্যে আমরা গর্বিত।’
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘অদম্য মনোবল আর ইচ্ছাশক্তির কারণে অরুপ সিংহ ও স্বর্ণালী তেলী সাফল্য পেয়েছে। তাদের প্রশাসন থেকে সহযোগিতা করা হবে।’