আমি সুপ্রাচীন কোনো সময়ের কথা বলছি না। আমি বলছি একবিংশ শতাব্দীর কথা। বলছি ২০২০ সালের কথা।
হিম্বা জাতিগোষ্ঠীর প্রধান বসবাস নামিবিয়ায়। বর্তমান সভ্যতা থেকে তারা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। আপনি যদি তাদের অঞ্চলে যান, তাদের সাথে মিশেন, তাহলে আপনার মনে হবে আপনি কয়েক হাজার বছর আগের কোনো জায়গায় এসে পড়েছেন।
তারা যে সভ্যতার ছোঁয়া থেকে কতোটা বিচ্ছিন্ন সেটা বোঝার জন্য একটা উদাহরণই যথেষ্ট। এই সময়ে এসেও তাদের দেহের অধিকাংশই নগ্ন থাকে। অনেকেই সম্পূর্ণ উলঙ্গ থাকে।
এ ধরণের নৃগোষ্ঠীদের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ সীমিত ও অপর্যাপ্ত। দাওয়াহ সংগঠন ‘IERA’ এর পক্ষ থেকে হিম্বাদের একটি গ্রামে তাওহীদের বাণী, শান্তির বাণী প্রচারের উদ্যোগ নেয়া হয়। ‘IERA’ এর পক্ষ থেকে আব্দুর রহীম গ্রিন, আদনান রশীদ সহ আরো বেশ কয়েকজন তাদের গ্রামে যায়। গ্রামে গিয়ে দোভাষীর সাহায্যে তারা তাদেরকে ইসলামের মৌলিক বার্তা দেয়ার চেষ্টা করেন। তাদের গোত্র প্রধান তাদের স্বাধীনতা দিয়ে দেয়-
“তোমরা যদি বোঝো এবং বিশ্বাস করো আমাদের অতিথিরা যা বলছেন সেটা সত্য, তাহলে তা গ্রহণ করতে দ্বিধাবোধ করো না”।
পরবর্তীতে দেখা যায়, গ্রামের সবাই, শিশু থেকে বৃদ্ধ এমনকি স্বয়ং গোত্র প্রধানকেও ইসলামের বাণী এতোটাই আকর্ষণ করে যে তারা সবাই সাথে সাথেই তা কবুল করে নেয়। কারণ, প্রাকৃতিকভাবেই তাঁদের স্বভাব ছিলো স্বচ্ছ ও কলঙ্কহীন।
এভাবেই প্রত্যন্ত এক অঞ্চলের মানুষ- যারা আজও কাদামাটি দিয়ে ঘর বানায়- তাদের কুটিরে পৌঁছে গেলো আল্লাহর বাণীর মশাল।
রাসূল (সা) আমাদের জানিয়ে গেছেন, কোনো মাটির ঘরও ইসলামের বাণী থেকে বঞ্চিত হবে না। হতে পারে এটা সেটারই একটা ধাপ।
[ছবি- হিম্বা উপগোষ্ঠীর শিশুদের সিজদা দেওয়া শিখানো হচ্ছে]